Saturday, 19 April, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

শরীয়তপুরে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

সোহাগ সরদার, শরীয়তপুর

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - প্রতিনিধি

দেশব্যাপী  নারীদের প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্থা, এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শরীয়তপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল।

সোমবার (১০ মার্চ ২০২৫) সকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আলাদা আলাদা ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে এতে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও শিশুরা।

এসময় ছাত্র নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষকদের সুষ্ঠু বিচার হয় না বলেই দিন দিন ধর্ষণের পরিমাণ কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে। শুধু নারীদের পোশাকের কারণেই নয়, হিজাব পড়ুয়া নারী এবং শিশুরা, আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে । এতে দিন দিন এদেশের নারী ও শিশুরা,  বাহিরে বের হতে ভয় পাচ্ছে। তাছাড়া ধর্ষকদের বিচার অতি দ্রুত হয়না বলেই ধর্ষণের পরিমাণ দিন কে দিন বেড়েই জাচ্ছে। আমরা মনে করি অতি দ্রুত ধর্ষকদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে ধর্ষণ নির্মূল করা সম্ভব হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ খুব ভালোভাবেই চলছিলো। তবে ইদানীং কাকতালীয়ভাবে ধর্ষণ, খুন, লুটপাট, চাঁদাবাজি, ও ডাকাতি বেড়ে গিয়েছে। এখন যেই ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলো সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে আমরা মনে করি । বিগত দিনে যদি সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষকদের বিচার করা হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা কোন গোষ্ঠী, ঘটানোর সাহস পেত না । আমরা মনে করি ধর্ষণের শাস্তি প্রকাশ্যে সকলের সামনে হওয়া  উচিত। এক দুইটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতো না।
  ছাত্রদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মা-বোনেদের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা মহান স্বাধীনতা পেয়েছি। আর সেই মা-বোনদের অধিকার আদায়ে আজ রাজপথে নামতে হবে তা কখনো ভাবিনি। সারাদেশে যেভাবে নারী ও শিশুরা, ধর্ষনের শিকার হচ্ছে, সেভাবে কোন বিচার হচ্ছে না। অতি দ্রুত ধর্ষকদের বিচার করতে হবে।

ইতি আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, যদি একটি বিচার হতে এত সময় লাগে তাহলে বাংলাদেশে, আমারা নিরাপদ কীভাবে ভাববো। বাহিরে চলাচল করতে আমরা এখন ভরসা পাচ্ছিনা। আমাদের পাশে থাকা দাদা, বড় দাদা, নানা, চাচা, ও মামার সমতুল্য মানুষদের দেখলেও এখন ভয় পাই। কারণ এদেশে ধর্ষকদের সুষ্ঠু কোন বিচার হয় না। আজকে যদি এদেশে ধর্ষকদের বিচার হতো তাহলে আমরা থাকতাম স্বাধীন চৈতন্য। শুধু পোশাকের কারণে নয়, এখন হিজাব ও বোরকা পড়া মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমরা চাই অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত